প্রায়
ঘটনাহীন উতরে গেল কংগ্রেসের ডাকা বুধবারের ১২ ঘন্টার মুর্শিদাবাদ বনধ।
বনধে সামিল দক্ষিণ দিনাজপুরেও এ দিন সাধারন জনজীবন বিপর্যস্ত। বনধে সাড়া দেওয়ায় ওই দুই জেলার মানুষকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের পাশাপাশি কংগ্রেসের দাবি, কংগ্রেসের অপমানের জবাব দিয়েছেন মানুষ। অন্য দিকে বনধ ব্যর্থ হয়েছে বলে তৃণমূল পাল্টা দাবি করেছে। তবে দাবি-পাল্টা দাবির মধ্যে বস্তুত এ দিনের বনধে দুই জেলায় বিক্ষিপ্ত কয়েকটি ঘটনা ছাড়া পুলিশ-প্রশাসন কাউকেই বিশেষ দৌড়ঝাঁপ করতে হয়নি। মজার ব্যাপার এ দিন বনে্ধ দুই দেলার কোথা-ই গ্রেফতার হয়নি কেউ। রাস্তার মোড়ে বহু জায়গাতেই পুলিশ কর্মীদের কার্যত দিবানিদ্রা দিতে দেখা গিয়েছে। |
||
তবে
দুই জেলার কোথাও বেসরকারি, অটো, ট্রেকারের দেখা মেলেনি। এমনকী সরকারি
বাসও ছিল নাম-কাওয়াস্তে। দোকানপাট ছিল বনধ। তবে নিয়ম মাফিক সরকারি
সমস্ত দফতর খোলা ছিল। যদিও সেখানে হাজিরার সংখ্যা ছিল হাতে গোনা।
ঝুঁকি নিয়ে খোলেনি কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও। তবে কয়েকটি স্কুলে
শিক্ষক-শিক্ষিকারা হাজির থাকলেও দেখা মেলেনি ছাত্রছাত্রীদের। বনধ ছিল
বিভিন্ন ব্যাঙ্ক ও সমস্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। এরই মাঝে বাসুদেবপুর, ধুলিয়ান ডাকবাংলো ও সুতির সাজুর মোড়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক কয়েক দফায় অবরোধ করে ব্নধ সমথর্কেরা। তেমনই সাঁকোপাড়া হল্ট, বল্লালপুর ও বাসুদেবপুর স্টেশনে বেশ কিছু ক্ষণ থমকে যায় ট্রেনও। এদিন সকাল থেকে বহরমপুরের জেলা প্রশাসনিক ভবন ছাড়াও জেলার বিভিন্ন মহকুমা ও বিডিও অফিসের সামনে কংগ্রেস কর্মীরা ভিড় করে থাকেন। সকাল ১১টা পর্যন্ত ওই ভিড় ঠেলে কেউ ভেতরে ঢুকতে পারেনি। মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) সন্দীপ দত্ত অবশ্য বলেন, “বহরমপুরে জেলা প্রশাসনিক ভবনে, জেলার বিভিন্ন মহকুমাশাসকের দফতরে এবং কোনও কোনও ব্লকে ৯০-৯৫% কর্মী হাজির ছিলেন।” জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বনধের দিন দফতরে অনুপস্থিত থাকলে সরকারি কর্মীদের বেতন কাটা হবে বলে সোমবার রাতে রাজ্যের মুখ্যসচিব ফ্যাক্সবার্তা পাঠান। জেলাপ্রশাসন স্থানীয় কেবল্ চ্যানেলে তা প্রচারও করে। তার ফলে বিভিন্ন সরকারি কর্মী যাঁদের দূরে বাড়ি তাঁরা অধিকাংশই অফিসে রাত কাটিয়েছেন। কেউ সহকর্মীদের বাড়িতে, কেউ আবার আত্মীয়ের বাড়িতে, কেউ কেউ অফিসের কাছাকাছি কোনও থাকার জায়গা বেছে নিয়েছিলেন। এদিন ডোমকল মহকুমাশাসকের দফতরের কর্মীরা নিজেরা উদ্যোগী হয়ে দুপুরের খাবারের জন্য খিচুড়ি রান্না করেন। জঙ্গিপুর মহকুমাশাসকের দফতরের কর্মীরা রাতে সরকারি গেস্ট হাউসে রাত কাটান। কেউ আবার দফতরের পিছনের পাঁচিল ডিঙিয়ে ভেতরে ঢোকেন। |
||
তৃণমূলের জেলা সভাপতি মহম্মদ আলি বলেন, “সরকারি কর্মীরা বনধ উপেক্ষা করে বিভিন্ন দফতরে হাজির হন। সরকারি বাসও চলেছে। সব মিলিয়ে জনবিরোধী ও নীতিহীন বনধকে মেনে নেননি সাধারণ মানুষ।” |
Home
»
Adhir Ranjan Chowdhury
»
Berhampore
»
Raghunathganj
»
কংগ্রেস
»
জঙ্গিপুর
»
মুর্শিদাবাদ
» ঘটনাহীন বনধে ঘুমিয়ে কাটালেন পুলিশকর্মীরা
About Author
The part time Blogger love to blog on various categories like Entertainment, Sports, Politics, Events, Job News, Bengal News, National News, International News. If you want be a part of our Admin Panel, please Contact / Whatsapp: +91 8961363755.
Advertisement
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Post a Comment