দীর্ঘ ৮ বছরের প্রতীক্ষার অবসান। আগামী শুক্রবার স্হানীয় সাংসদ না থাকলেও বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী রামপুরা থেকে কাশিয়াডাঙ্গা পর্যন্ত পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাওয়া পি এম জি এস ওয়াই রাস্তাটির সংস্কারের শিলান্যাস করতে আসছেন। এক দশকেরও বেশি সময় আগে অতি নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে এই নতুন রাস্তাটি কং পরিচালিত জেলাপরিষদ থেকে করা হয়েছিল। এর দুবছরের মধ্যেই রাস্তার অনেকটা অংশ ভাঙ্গতে শুরু করে। প্রকল্পের রুপরেখা অনুযায়ী নির্মাণ পরবর্তী ৫ বছর সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ঠ ঠিকাদার দায়বদ্ধ থাকলেও কোনো কাজ করেনি। এরপর অনেকগুলি ভারী বর্ষার জল গড়িয়েছে, লক্ষ লক্ষ বেআইনি মাটি কাটার ট্রাক মিছিল করে পার হয়ছে, ভোট মরশুমে অনেক ভোটপাখি এসে মিষ্টি গান গেয়ে গেছে, কীর্ণাহার থেকে অভিজিত মুখার্জিও কিছুই করতে পারেন নি,স্হনীয় নেতাদের রুটিন করে মুখোরোচক প্রতিশ্রুতির কথা না হয় উহ্য থাক। ২ বছর আগে জেলাপরিষদে টেন্ডরে ব্যাপক দূর্নিতির জন্য এই কাজ বাতিলের খবর এখন আর করোকাছে অজানা নাই। বিধান সভা ভোটের অনেক আগে টেন্ডারের কাজ সম্পূর্ণ হলেও কোনো এক এক অজানা কারণে এখনও কাজ শরু হয়নি। জেলা পরিষদ সূত্রের খবর ২ কিমি দীর্ঘ উক্ত রাস্তার সংস্কারের জন্য মাত্র ৩৪ লক্ষ টাকা বরদ্দ হয়েছে। এখন জনগণের প্রত্যেকের কাছে একটা প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে যে, মাত্র ৩৪ লক্ষ টকায় পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাওয়া ২ কিমি রাস্তার সংস্করের কাজ কি করে সম্ভব? এখানে গাড়ি চালানো তো দূরের কথা দু পা হেঁটে যাওয়াও দুস্কর। কাজেই “ থুথু দিয়ে ছাতু শানা”র মতো কাজ জনণন মেনে নিতে চইছেনা। সকলের দাবি ছিল নতন করে রাস্তা তৈরী হোক। যাই হোক, অনেক নোংরা রজনীতি, অনেক দূর্নিতি, অনেক মিথ্যা প্রতিশ্রুতি,অনেক প্রশাসনিক উপেক্ষার পর জঙ্গিপুরের বহুল আলোচিত এই রাস্তাটির কাজ কিভাবে করা হয় তার উপর আমাদের সকলের নজর থাকবে। ফেসবুক এই “রঘুনাথগঞ্জ” পেজে বহুবার এই রাস্তা সম্পর্কে লেখা হয়েছে। যার ফলে নির্লজ্জ প্রশাসন কিছুটা হলেও নড়েচরে বসেছিল বলেই হয়তো ৫০ হাজারেরও বেশী লোক সুবিধা পেতে চলেছে।
Post a Comment