ভোট কাকে দেবেন সেটা মোটামুটি সবাই মনস্থির করে ফেলেছেন। ভোটের আগে এই দল ওই দল ভালো খারাপ বিশ্লেষণ করে অনেকে অনেক কিছু বলে। ভোটের পর সব দল একই রকম হয়ে যায়। জঙ্গিপুরেও তার ব্যতিক্রম হয় না। রাজনৈতিক দল প্রায় সবাই নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য সব কিছু করতে পারে এই ভোটের সময়।তাই এদের পরীক্ষা নেওয়ায়্র আসল সময় ভোট জিতে যাওয়ার পর। যেটা আমাদেরকেই ভেবেচিন্তে এদের কে জিতিয়ে ঠিক করতে হয়।
গত ৫ বছরে জঙ্গিপুরে কি হয়েছে আর কি হওয়া উচিত ছিলো যদি আমরা সেগুলো যদি আমরা একটু দেখে নিই তাহলে দেখা যাবে জঙ্গিপুর নামে গন্ধে অনেক কিছুই পেয়েছে, কিন্তু আমজনতার কাজে কর্মে তার ফল কিছুই পায়নি।মহকুমায় একটা ডিগ্রী কলেজের প্রয়োজন কতটা সেটা প্রতিবছর প্রথম বর্ষের ভর্তির সময় জঙ্গিপুর কলেজের নাম খবরের কাগজের শিরোনামে এলেই বোঝা যায়। গুরুত্ব টা সবাই বোঝে কিন্তু হেলদোল কারোর নেই, এমনকি আমাদেরও নেই। নামেই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল হয়েছে কিন্তু সাধারন মানুষ কতটা স্পেশাল পরিসেবা পাই সে নিয়ে সন্দেহ আছে। সময়ের সাথে সাথে জঙ্গিপুরের গুরুত্ব বাড়লেও করে প্রশাসনিক গুরুত্ব বাড়ানোর হেলদোলও এখন আর চোখে পরেনা। আর হ্যা আর একটা নতুন গুজব আছে, সেটা হলো স্মার্ট সিটি , মানে ওই আম্রুত সিটির মর্যাদা পাওয়া। কি হলো মর্জায়া পেয়ে গত ৬ মাসে। পুরসভার কর্তারাই তো জানেন না যে আদৌ তারা এই অনুমোদন পেয়েছেন কিনা। সরকারের তরফ থেকেও কোনো সংকেত পাওয়া যায় নি। শুধু এই সোস্যাল মিডিয়াতেই এটা কে নিয়ে হইচই করে গেলাম আমরা। যেন এই খবরেই আমরা খুব খুশি, কাজ হলো কি না হলো তাতে কি আসে যাই। আমরাও দায়ী এর জন্য। মহকুমায় দুটি কিষান মান্ডি হয়েছে খোজ নিয়ে দেখেছে কেউ কি এই কিষান মান্ডি তে আদৌ এলাকার কৃষক রা সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে কিনা? সন্দেহ আছে যে এগুলো আদৌ ঠিক ভাবে চলে কিনা। জঙ্গিপুরের উপর দিয়েই ১১ নং রাজ্য সড়ক চলে গিয়েছে, কিন্তু প্রতি বছর ই দেখা যায় এই রাস্তায় কিছু না কিছু মেরামতির দরকার পরে, মানে ইচ্ছে করেই এটিকে ভালোভাবে তৈরী করা হয় না। যাতে প্রতি বছর টেন্ডার ডেকে কিছু টাকা পকেটে পাওয়া যায়। পরিশ্রুত পানীয় জল প্রকল্পে অনেক টাকা ঢালা হয়েছে কিন্তু জঙ্গিপুরের পার্শবর্তী এলাকা গুলো কি এর সুবিধা পায় ? একসময় মিনিসিপ্যালিটি এলাকায় দিনে ৩ বার জল পাওয়া যেত, এখন সেটা কোনো রকমে ২ বার জোটে। কেন এই নূনতম পরিসেবা টুকুও পাওয়া যায় না? কারোর দায়বদ্ধতা নেই নাকি? ভোট চলে গেলেই এদের টিকির দেখা মেলে না। সে যে দল ই হোক না কেন? মিয়াপুরের ঘটা করে রেলের ওভার ব্রিজ টা তো হয়েছে, কিন্তু গত ৮-৯ মাসে কি হল তার আশা করি প্রশাসন তার ভালোই খোজ রেখেছে।যেদিন ভেঙ্গে পরবে সেদিন সুধু কয়েকজন কে গ্রেপ্তার করেই খালাস পেয়ে যাবে এরা।
ভোটটা যাকেই দিন না কেন, যেই জিতুকনা কেন ভোটের পর এরা কি করে সেটা নিয়ে যদি নারাচারা করেন বা এদের দিকে আঙ্গুল তোলেন তাহলে হয়তো কিছু হলেও হতে পারে।না তো ভোট-এর সময় আমরা শুধু নিজেদের মধ্যেই লড়াই করব আর সুফল ভোগ করবে এই রাজনৈতিক দল গুলোর নেতারা আর তাদের চেলা চামুন্ডারা।
তাই সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের প্রতি আবেদন, আপনারা যেই জয়ী হন না কেন ভোটের পর নিজেদের কর্তর্ব্য গুলো পালন করলে মানুষ পরের বার দুহাত ভরে আপনাদের ভোট দেবে।আর যদি নাও করেন তাহলেও আপনারাই ভালো জানেন কিভাবে দুহাত ভরে ভোট টা আদায় করতে হয়।
Post a Comment