ইন্টারনেট ডেস্ক: বিদ্যুৎ ও রাস্তার দাবিতে পথ অবরোধ, আর তার জেরে রণক্ষেত্রের রূপ নিল ফরাক্কা। রণক্ষেত্র ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। গুলি চালাচ্ছে পুলিশ। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক আজ রণক্ষেত্রের চেহারা নিল। পথ অবরোধ থেকে তুলকালাম কাণ্ড। অবরোধ তুলতে গেলে বিক্ষোভকারীদের ইটবৃষ্টি, পাল্টা গুলি পুলিশের।
ফরাক্কার জিগরি গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, ৩ দিন ধরে গ্রামে বিদ্যুৎ নেই। ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার পথে নামে গ্রামবাসীরা। ঘড়ির কাঁটায় তখন বেলা ১২টা। জিগরি মোড়ের কাছে অবরোধ করা হয় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। অবরোধের জেরে জাতীয় সড়কে তুমুল যানজট সৃষ্টি হয়।
বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ, ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ বাহিনী। অবরোধ তুলতে গেলে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পুলিশকে লক্ষ্য করে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। ইটের আঘাতে মাথা ফেটে যায় ফরাক্কা থানার আইসি সমীর রায়ের। জখম হন আরও ৫ পুলিশ কর্মী।
পাল্টা লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হল বলেও অভিযোগ। এরপর গুলি চালাতে শুরু করে পুলিশ।ছ’টি বাসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।
জয়েন্ট বিডিও গাড়িতেও হয় হামলা। গুরুতর জখম হন গাড়ির চালক।এই ঘটনার জেরে বন্ধ হয়ে যায় ৩৪ নং জাতীয় সড়কের যান চলাচল। বহু মানুষ গাড়ি থেকে নেম মাঠে আশ্রয় নেন। আহত হন বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী। শুধু আহতই নয় পুলিশের গুলিতে একজনের মৃত্যুও হয়েছে বলে দাবি ফরাক্কার কংগ্রেস বিধায়ক মইনুল হক।
গুলি চালানোর কথা মানলেও, তাতে কারও মৃত্যুর কথা স্বীকার করেনি পুলিশ। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অংশুমান সাহার দাবি, অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের ওপর ইটবৃষ্টি হয়। ইটের আঘাতে জখম হন আইসি-সহ ৬ পুলিশ কর্মী। পরিস্থিতিতে সামলাতে শূন্যে গুলি চালায় পুলিশ।
পুলিশের গুলি চালানোর নিন্দায় সরব তৃণমূল ও সিপিএম। ঘটনার পর থমথমে এলাকা। বসেছে পুলিশ পিকেট।
ছবি: ফেসবুক সৌজন্যে
Post a Comment