ইন্টারনেট ডেস্ক: ক্লাস চলাকালীন আগুন লাগলো তেঘরী খামড়া ভাবকী হাই স্কুলে।ঘটনাটি ঘটেছে রঘুনাথগঞ্জ থানার অন্তর্গত তেঘরী খামড়া ভাবকি হাই স্কুল–এ।
আজ দুপুর ১২টার সময় তেঘরী হাই স্কুলের একটি রুমে আগুন লেগে যাই। তা দেখে সব ছাত্র-ছাত্রী এবং মাস্টাররাকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়। স্কুলের পাশেই ডিউটিরত অবস্তায় ছিল কিছু স্থানীয় সিভিক পুলিশ। তাদের বক্তব্য, “আমরা স্কুলের বাইরে ডিউটি করছিলাম, হটাত্ সব ছাত্র-ছাত্রী এবং মাস্টাররাকে বাইরে আসতে দেখে অনুমান করিজে যে কিছু অঘটন ঘটেছে। তাই আমরা ভিতরে যাই, গিয়ে দেখি যে একটি রুমের গেটদিয়ে অনেক ধোয়া বেরহচ্ছে এবং কিছু ছাত্র তা নিভানোর চেষ্টা করছে। আমরাও আগুন নিভানোর কাজে লেগে যাই। ওই রূমে অনেক আবর্জনা ছিল যেমন -কাট,বাশ,সিমেণ্টের বস্তা ইত্যাদি সেগুলো বেরকরে ফেলি। ওই রূমেই ইলেক্টরির মিটার ছিল তা থেকেই মনে হয় শর্টসার্কিট হয়েই আগুন লেগেছে”।
তেঘরী খামড়া ভাবকি হাই স্কুল–এর হেড মাষ্টার অনির্বাণ জোতদারকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, “আমি অফিস রুমে ছিলাম, হটাত্ ছাত্র-ছাত্রীর আওয়াজ শুনে বাইরে বের হয়ে দেখি যে ওই রুমের গেট দিয়ে অনেক ধোয়া বেরহচ্ছে তা দেখে সবাইকে স্কুল থেকে বের হতে বলি। আমার স্কুলে একটি সিকিউরিট এবং সেফটি ট্রেনিং হয় যা কিভাবে আগুন নিভাবে সেটাও শিখানো হয়। সেই ছাত্র গুলি যারা ট্রেনিং করে তারা ঝাপিয়ে পড়ে আগুন নিভাতে এবং দুটো সিভিক পুলিশ ছিল তারাও আগুন নিভাতে সাহায্য করে। আগুন নিয়ন্ত্রনে আসার পড়ে জানতে পারি যে ইলেক্টরিকের সট্সার্কিটের কারণে আগুন লেগেছে। এই মিটার টি মাঝে মাঝে প্রবলেম করে তার জন্য আমরা ইলেকট্রিক অফিসে আপ্লিক্যাসন করেছি ৩/৫/২০১৬ তে। কিন্তু ইলেকট্রিক অফিসের কোনও হেলদোল নেই। আজ যদি আগুন ভয়াবহ রূপ নিয়ে নিত তাহলে আমার স্কুলের চার হাজার ছাত্র-ছাত্রী আছে তাদের কী হত? সেই ভেবে আমার গা শিহরে উটছে”।
আগুন নিভানোর পর রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ আসে এবং ঘটনার সবিস্তার বিবরণ নিয়ে মাষ্টার মশাই-এর সঙ্গে আলোচনা করে।
Post a Comment