আজকাল শহরটা কেমন যেন ঝিমিয়ে গেছে। কেমন যেন একটা উদাসীনতা কাজ করছে, হছে হবে, হলেও ভালো, না হলেও ক্ষতি নেই এই রকম একটা ভাব। কিন্তু এই কয়েক মাস আগেই তো কত স্বতস্ফুর্ত ছিল শহরটা। রাস্তা ঘাটে, চায়ের ঠেকে, বাসের সিটে, ড্রয়িং রুমের আড্ডাতেও একটা বেশ রেষারেশি ছিল। টান টান উত্তেজনা ছিল। মানুষের মধ্যে একটা অল্প আসার আলোও জেগেছিল, হয়ত এবার কিছু ভালো হবে এটা ভেবে। ভাবনা তে ভুলও হয়ত ছিল না, কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরেই লক্ষ করছি তাল তা যেন কোথায় কেটে গেছে। ব্যাপার টা কি?
মাস খানেকের বেশি সময় পার করে গেছে বিধানসভা ভোট অতিক্রম হওয়া। জঙ্গিপুরের মানুষ নতুন আশা নিয়ে একটা দিশা পাওয়ার অপেক্ষায় ছিল যখন জঙ্গিপুরে শাসক দলের প্রথম বারের মতো ফুল ফুটল। ধারণা এবার কিছু একটা হবে আমাদের এই জঙ্গিপুরে। শুরুতেই বোনাস স্বরূপ আমাদের মাননীয় বিধায়ক মন্ত্রী সভায় স্থান পেয়ে সেই উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে আরো বাড়িয়ে দিলেন। আমরাও ভাবতে শুরু করলাম মুখ্যমন্ত্রীর আশীর্বাদ তাহলে এখানকার মানুষও পাবেন। কিন্তু আশীর্বাদ তো একপেশে হয়ে কিছু মুষ্টিমেয় ব্যক্তির মুঠো বন্দী হয়ে থাকলো। তাহলে হলো টা কি?
সত্যি কথায়, জঙ্গিপুরের মানুষ উন্নয়নের সুফল থেকে দিনের পর দিন বঞ্চিত থেকেছেন। এলাকায় অনেক হেভি-ওয়েট ব্যক্তিত্ব থাকা সত্বেও তারা নিজেদের ক্যারিশমার ২০% ও জঙ্গিপুরের জন্য করে দেখাতে পারেননি। হয়ত তারা রাজনৈতিক এবং কুটনৈতিক দিক থেকে অনেকটাই দুর্বল। আর বর্তমান পরিস্থিতিতে দুর্বলদের যে কোনো জায়গা নেই তা এবারের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলেই স্পস্ট। কিন্তু এবাবের বিধানসভা নির্বাচনের পরে এতো শক্ত একটা জায়গায় দাড়িয়েও জঙ্গিপুরের মানুষ কেন জানিনা সেই সাহসটা পাছে না, কোথাও একটা অস্বস্তি কাজ করছে। কিন্তু কেন?
আমতা জানি সব, বুঝিও সব, হয়ত কাজে কিছুই করেও দেখায়। কিন্তু তারপরেও আমাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের কোথাও একটা খামতি থেকে যায়। জঙ্গিপুরেও ব্যাপারটা ঠিক এইরকম ই হচ্ছে বলে ধারণা। কিন্তু হচ্ছে টা কি?
(লেখার পরবর্তী অংশ আগামী পর্বে প্রকাশিত হবে)
Post a Comment