ইন্টারনেট ডেস্ক: মুর্শিদাবাদ জেলার অন্তর্গত সামসেরগঞ্জের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে গর্বের নদী গঙ্গা। তারই পাশে বিশাল গ্রাম চাচন্ড গনেস্যামপুর, ফুলতলা। সেই গ্রাম খুব শীঘ্রই নদীর তলদেশে যেতে চলেছে। প্রতিবারই বর্ষার সময়ে নদী ভরাট হয়ে যায়। ধস নামে যার ফলে হাজার হাজার কৃষকের কৃষি জমি নদীতে তলিয়ে যায়। চাষীর কপালে চিন্তার ভাজ পড়লেও প্রশাসন, রাজনৈতিক দল, নেতা মন্ত্রী কারোর কোনো মাথাব্যাথা নেই! ধীরে ধীরে গ্রামের জনবসতির দিকে প্রবেশ করে চলেছে এই নদী। গ্রামের অসহায়, গরীব মানুষদের কাছে আজ থাকার জায়গা নিয়ে চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে স্বভাবতই। এব্যাপারে নির্বাচিত কোনো প্রতিনিধি বা প্রশাসনিক প্রতিনিধিদের সদর্থক কোনো পদক্ষেপ এখনো পর্যন্ত নেয় নি! অসহায় গরীব মানুষগুলির বক্তব্য এখনকার সময়ে ঘরবাড়ি জলের তলায় চলে গেলে নতুন ভিটেমাটি তারা কি করে কিনবেন কারণ নতুন জমির দাম দিন কে দিন বেড়েই চলেছে।গঙ্গার ধারের তিন ফসলি কৃষিজমি আজ গঙ্গার তলে! তারপরেও রাজ্য প্রশাসনের কোনো ভূমিকা চোখে পড়েনি। গঙ্গার পাড়ের মাটি তথা কৃষিজমি প্রশাসনের প্রতক্ষ মদতে দিনের পর দিন সমাজবিরোধীরা ইটভাটার জন্য কেটে চলেছে।ভয়ে সাধারণ মানুষ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে পারছে না। গ্রামবাসীদের বর্তমানে দাবি টালবাহানা না করে দ্রুত অবৈধ মাটি কাটা বন্ধ করে বাধ নির্মানের ব্যবস্থা করতে হবে যাতে তাদের বসতবাড়ির ভবিষ্যত সুরক্ষিত থাকে।
ছবি: ফেসবুক সৌজন্যে
Post a Comment